গল্পঃ নামাজ (জুম্মাবার এর তাৎপর্য )


নামাজঃ সিনঃ ১

স্থানঃ ফাকা মাঠ

চরিত্রঃ হেলাল, ইমতিয়াজ , হৃদয়

জুম্মাবার সবাই মসজিদে নামাজ পড়তে যাচ্ছে হঠাৎ দেখা যাবে! হেলাল কে কানে হেডফোন লাগিয়ে গান শুনছে!

ইমতিয়াজঃ হেলাল তুমি নামাজে যাবে না?

হেলালঃ সালাম ভাই! না ভাই জুমার নামাজ খুব একটা পড়া হয় না! আর আজ একটা দাওয়াত আছে!  


ইমতিয়াজঃ হেলাল আল্লাহ তায়ালা প্রতি সপ্তাহে মানবজাতির সমাবেশ ও ঈদের জন্য এ দিন নির্ধারণ করেছিলেন। কিন্তু পূর্ববর্তী উম্মতরা তা পালন করতে ব্যর্থ হয়। ইসলামের জুমার গুরুত্ব অপরিসীম। স্বয়ং আল্লাহপাক কোরআন পাকে ইরশাদ করেন ‘হে মুমিনগণ জুমার দিনে যখন নামাজের আজান দেয়া হয়, তখন তোমরা আল্লাহর স্মরণের উদ্দেশেও দ্রুত ধাবিত হও এবং ক্রয়-বিক্রয় ত্যাগ কর’। সূরা জুমা, আয়াত নং-৯।


হেলালঃ ভাই নেক্সট জুম্মা তে নামাজ পড়বো!

ইমতিয়াজঃ হেলাল তুমি কি বলতে পারবে? এর পরের জুম্মা তুমি পাবে??? তুমি কি জানো আজ রাতের পর কাল ভোর তুমি দেখতে পাবে? রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন, ‘কোনো মুসলমান জুমার দিনে অথবা রাতে ইন্তেকাল করলে আল্লাহ তাকে কবরের ফিতনা, কবরের সওয়াল-জওয়াব ও আজাব থেকে রক্ষা করবেন।’ তিরমিজি, মিশকাত

হেলালঃ ভাই আমরা অনেকেই এর ফজিলত জানি না! সবাই হেলায় নামাজ ছেড়ে দিয়েছি!

 

ইমতিয়াজঃ আল্লাহর রাসুল (সা.) আরও বলেন, ‘জুমার দিনে যে ব্যক্তি গোসল করে জুমার নামাজের জন্য যায় এবং সামর্থ্য অনুযায়ী নামাজ আদায় করে, এরপর ইমাম খুতবা শেষ করা পর্যন্ত নীরব থাকে। এরপর ইমামের সঙ্গে নামাজ আদায় করে। তবে তার এ জুমা থেকে পরবর্তী জুমা পর্যন্ত এবং অতিরিক্ত আরও তিন দিনের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়।’ (মুসলিম, হাদিস নং : ২০২৪)

হেলালঃ সুবাহানাল্লাহ!

এইদিকে   হৃদয় ঢালির এন্ট্রি হবে!

ঢালিঃ জুমার নামাজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ ও বরকতময়। আমরা অনেকেই জুমার নামাজকে অবহেলা করে থাকি। অযথা ও বিনা কারণে কখনও জুমার নামাজ পরিত্যাগ করা যায় না। এ ব্যাপারে শরিয়তে কঠিন সতর্কবাণী দেওয়া হয়েছে। রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘যে ব্যক্তি অবহেলা করে তিন জুমা পরিত্যাগ করে, আল্লাহ তাআলা তার হৃদয় মোহরাঙ্কিত করে দেন।’ (তিরমিজি হাদিস নং : ৫০২)

 

ইমতিয়াজঃ শুধু তাই নয়!

রাসূলুল্লাহ (স.) বলেন  যে সমস্ত লোক জুমার নামাজ থেকে দূরে থাকে (পড়ে না) তাদের সম্পর্কে বলেছেন, নিশ্চয়ই আমার ইচ্ছা হয় যে আমি কাউকে নামাজ পড়ানোর আদেশ করি, সে মানুষকে নামাজ পড়াক। অতঃপর যে সমস্ত লোক জুমার নামাজ পড়ে না, আমি তাদের ঘরবাড়ি জ্বালিয়ে দিই। (মুসলিম : ৬৫২, মুসনাদে আহমাদ : ৩৮১৬, মুসনাদে ইবনে আবি শাইবা : ৫৫৩৯, আসু-সুনানুল কুবরা : ৪৯৩৫)

 

হেলালঃ এক্সপ্রেশন

ঢালিঃ  রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমার দিনে সুন্দর করে গোসল করবে, অতঃপর তেল ব্যবহার করবে এবং সুগন্ধি নেবে, তার পর মসজিদে গমন করবে, দুই মুসল্লির মাঝে জোর করে জায়গা নেবে না, সে নামাজ আদায় করবে এবং ইমাম যখন খুতবা দেবেন, চুপ করে মনোযোগ সহকারে তাঁর খুতবা শুনবে। দুই জুমার মধ্যবর্তী সময়ে তার সব গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। (মুসনাদে আবু দাউদ : ৪৭৯)

ইমতিয়াজঃ রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি পরপর তিনটি জুমা বিনা ওজরে ও ইচ্ছা করে ছেড়ে দেবে, আল্লাহ তাআলা ঐ ব্যক্তির অন্তরে মোহর মেরে দেবেন। (তিরমিযী,আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ)

হেলালঃ চোখে পানি চলে আসবে! ভাই জীবনে অনেক ভুল করছি! নামাজ ছেড়ে দেয়া অনেক বড় ভুল একজন মুসলিম হিসাবে!

ইমতিয়াজঃ চল হেলাল এখন থেকে নামাজ মিস করা যাবে না! আমাদের সাথে চল! আমরা নামাজ পড়তে যাই! J

ভয়েস ওভার

রাসূল (সা.) বলেছেন, জুমা ত্যাগকারী লোকেরা হয় নিজেদের এই খারাপ কাজ হতে বিরত থাকুক। (অর্থাৎ জুমার নামাজ আদায় করুক), নতুবা আল্লাহ তাআলা তাদের এই গোনাহের শাস্তিতে তাদের অন্তরের ওপর মোহর করে দেবেন। পরে তারা আত্মভোলা হয়ে যাবে। অতপর সংশোধন লাভের সুযোগ থেকেও বঞ্চিত হয়ে যাবে। (মুসলিম)

মহান আল্লাহ তাআলা সবাইকে নিয়মিত জুমার নামাজ আদায় করার তওফিক দিয়ে ভয়াবহ শাস্তি থেকে সবাইকে হেফাজত করুন 

0 Comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন