Give Blood save Life / রক্ত দিন জীবন বাচান

 


                                 Give Blood save Life / রক্ত দিন জীবন বাচান

A Documentary Film by M.S.Polash

Actors: Hridoy Dhale, Imtiaz Ahmed, Seuz, Ranvir Ahmed, Md Raj

DOP: Sojib , Music by: DJ SM,  Script & Screen Play: M.S.Polash

Produced By (BFCD) ব্লাড ফাইটার ক্লাব দুপচাচিয়া

কস্টিউমঃ সবাই শার্ট , ডেনিম প্যান্ট , জুতা । ( শার্ট ৩টি করে নিয়ে আসতে হবে)

স্থানঃ ৬ টা,   চরিত্রঃ ইমতিয়াজ ,  হৃদয় ঢালি , সিউজ , রানভির , রাজ , মেঘলা

দৃশ্যঃ ১

স্থানঃ হসপিটাল এর বাহিরে

লোকেশনঃ হসপিটাল , বিশ্বরোড বাঞ্চ ।

চরিত্রঃ হৃদয় ঢালি ।

হৃদয় কে খুব বিষণ্ণ অবস্থায় দেখা যাবে , সে হসপিটাল থেকে বের হবে! রাস্তায় হাঁটবে । চোখে পানি থাকবে । অফ ভয়েসে শোনা যাবে।

আপনার মায়ের জন্য ও নেগেটিভ ব্লাড লাগবে নইলে বাঁচানো সম্ভব হবে না । (মায়ের জন্য তাকে কাঁদতে দেখা যাবে)  তারপর দেখা যাবে সে অনেক জায়গায় ফোন করছে ।

অফ ভয়েজে শোনা যাবে ও নেগেটিভ ব্লাড নেই!

তার চোখে পানি । ফেসবুকে পোস্ট করবে কিন্তু কোথাও ও নেগেটিভ ব্লাড পাওয়া যাচ্ছে নাহ!

তার বেশ কিছু ইমোশনাল সিন নেয়া হবে!

দৃশ্যঃ ২

স্থানঃ ৩০০ ফিট

চরিত্রঃ ইমতিয়াজ , রানভির

ইমতিয়াজ কে দেখা যাবে তার বন্ধু রনভির কে  নিয়ে হাঁটছে ।

ইমতিয়াজঃ আমাদের ব্লাড গ্রুপে প্রায় ৫০ জন মেম্বার হয়ে গেছে!

রানভিরঃ আলহামদুলিল্লাহ্‌!

ইমতিয়াজঃ শুধু তাই নয় আমাদের সব গ্রুপের ম্যানেজ রয়েছে!

রানভিরঃ এতোদিন পর একটা ভালো কাজ করতে পেয়ে খুব ভালো লাগছে ভাই ।

ইমতিয়াজঃ হ্যাঁ রে! আজকেও ৩ জন কে আমাদের গ্রুপ এর ছেলেরা রক্ত দিয়েছে!

রানভিরঃ বাহ!

ইমতিয়াজঃ জানিস আমার আমার মা রক্তের অভাবে মারা গিয়েছিল!  সে কষ্ট আজও  পাই!   হসপিটালের বেড শেষ বারের মত আমাকে বাবা বলে ডাক দিয়েছিলো! বলেই চোখ মুছবে!  

রানভিরঃ এক্সপ্রেশন!

ইমতিয়াজঃ তারপর থেকে আমি সিধান্ত নেই! আর কোন প্রান যাবে না  রক্তের অভাবে!

 

দৃশ্যঃ  ৩ ( ইন্টার কাট)

স্থানঃ ৩০০ ফিট ও বিশ্বরোড বাঞ্চ

চরিত্রঃ হৃদয় ঢালি, ইমতিয়াজ , রানভির

হৃদয় ঢালিঃ ইমতিইয়াজ কে ফোন করবে

ইমতিয়াজঃ হ্যালো  সালাম ভাই কেমন আছেন!

হৃদয় ঢালিঃ  ইমতিয়াজ ভাই আমার আমি ভালো নাই! আমার খুব বিপদ!

ইমতিয়াজঃ কি  হয়েছে ভাই!  

হৃদয় ঢালিঃ আমার মা এক্সসিডেণ্ট করেছে , ভাইরে আমার ও নেগেটিভ ব্লাড খুব খুব দরকার আজকের মধ্যে!

ইমতিয়াজঃ জি ভাই আমি যে ভাবে পারি ম্যানেজ করতেছি! আপনি চিন্তা করবেন না! আমার মাকে হয়তো বাঁচাতে পারি নাই! আপনার মা বাচবে! আপনার মা বাচবে ভাই!

হৃদয় ঢালিঃ কাঁদতে থাকবে! বেঞ্চে বসে থাকবে নিরুপায় হয়ে!

 

দৃশ্যঃ  

স্থানঃ ৩০০ ফিট

চরিত্রঃ আজিজুল , ইমতিয়াজ , রানভির  

ইমতিয়াজ চিন্তায় পড়ে যাবে ও নেগেটিভ ব্লাড কোথায় পাবে! তারপর আজিজুল  সামনে দিয়ে যাবে ।

ইমতিয়াজঃ এই আজিজুল এই দিকে অ্যায়

আজিজুলঃ আসসালামু আলাইকুম  ভাই কেমন আছেন?

ইমতিয়াজঃ ও-সালাম ভালো না রে! আচ্ছা তোর রক্তের গ্রুপ কি রে?

আজিজুলঃ ও নেগেটিভ  ভাই!

রানভিরঃ ভাই তোর রক্ত দিতে হবে আজকেই!  

আজিজুলঃ আরে ধুরু ভাই আজকে কেন! বাপরে আমি রক্ত দেয়ার ভিতর নাই! এমনেই শরিরে কিছুই নাই রক্ত দিলে আমি মরে যাব!

ইমতিয়াজঃ দেখ  রক্ত দিলে শরীরে কোন প্রকার সাইড এফেক্ট বা ক্ষতি হয় না । “স্বেচ্ছায় অসহায় রোগীকে রক্ত দিলে, কোরআনের মতে- সমগ্র জাতীর জীবন বাঁচানোর সওয়াব মিলে” আর শুধু তাই নয় . “যারা নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর রক্ত দিবে, তাদের দেহে BLOOD CELL সৃষ্টি বৃদ্ধি পাবে”  “দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে চাও  তাহলে স্বেচ্ছায় রক্তদান কর। শুধু তাই নয় “সুস্থ থাকলে রক্তদান কর, হার্ট এ্যাটাকের ঝুকি কমে যাবে! “যারা নিয়মিত রক্ত দিবে, তাদের রক্তের- কোলেস্টেরল কমবে”  “নিয়মিত রক্তদান করলে , উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়! নিয়মিত রক্তদান করলে  শরীরে আয়রনের পরিমাণ স্বাভাবিক রাখে। 

শুধু তাই নয়! “প্রতিবার রক্ত দিতে গিয়ে-একজন রক্তদাতা, বিনাখরচে যাচাই করতে পারে-সার্বিক সুস্থতা” । তোমার  এক ব্যাগ রক্তদান, বাঁচাতে সহযোগিতা করবে মুমূর্ষ রোগীর প্রাণ হতে পারে সে একজন মা বোন , ভাই!

রানভিরঃ আজিজুল “মনের ভয়কে দূর কর, স্বেচ্ছায় রক্তদান কর” আর “আমার রক্তে যদি সহযোগিতা করে- মুমূর্ষ রোগীর প্রাণ, তাহলে আমি কেন করবোনা স্বেচ্ছায় রক্ত দান ।  ?   তুমি বল!

আজিজুলঃ তাকিয়ে থাকবে বুঝতে পারবে!

ইমতিয়াজঃ  “পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ উপহার দিতে চাও  তাহলে অসহায় রোগীকে কর রক্তদান”

রানভিরঃ   “একজন রক্তদানকারী, নিঃসন্দেহে সে পরোপকারী”  আর “যারা নিয়মিত রক্ত দিবে, তাদের ক্যান্সারের ঝুকি কমবে ।

ইমতিয়াজঃ  ভাইরে আজ রক্তটা দাও! তোমার রক্ত দানে একজন মায়ের জীবন বাঁচবে! আমার মা টা রক্তের অভাবে মারা গিয়েছিলো! বলেই চোখ ধরবে ।

আজিজুলঃ ভাই আমি রক্ত দিব ভাই আমি রক্ত দিব! আমি বুঝতে পারিনি!

ইমতিয়াজ এর থেকে ফোন নাম্বার নিয়ে চলে যাবে! আজিজুল!

দৃশ্যঃ  ৫ ,  ইন্টার কাট!

স্থানঃ ৩০০ ফিট , বিশ্বরোড

চরিত্রঃ আজিজুল , হৃদয় ঢালি!

আজিজুল  ফোন করবে! হৃদয় কে!

হৃদয় কে খুব চিন্তিত মনে বসে থাকতে দেখা যাবে! তখন ফোন আসবে!

আজিজুলঃ সালাম ভাই! আপনার মা কে রক্ত দিব! আমি আসছি!

হৃদয়ঃ খুব খুশি হয়ে যাবে! ক্যামেরা চারিদিকে ঘুরতে থাকবে!

মিউট এ থাকবে সব!

 

দৃশ্যঃ     টাইম ল্যাপস

৭ দিন পর! সবাইকে একটা জায়গায় দেখা যাবে!

চরিত্রঃ আজিজুল , ইমতিয়াজ , রানভির  , হৃদয় ঢালি!

হৃদয় ঢালিঃ আজ তোমাদের (BFCD) ব্লাড ফাইটার ক্লাব দুপচাচিয়া গ্রুপ টা ছিল বলেই । আমার মায়ের জীবন বাঁচাতে পেরেছি! এই ভাবে  তোমরা এগিয়ে যাও! “মুমূর্ষ রোগীকে রক্ত, দান করা  যা আমাদেরই নৈতিক দায়িত্ব”

“রক্তদাতাদের মতো মহৎ মানুষ আছে বলেই  যা দেখে, অসহায় রোগীরা নতুন করে বাঁচার স্বপ্ন দেখে ।

ইমতিয়াজঃ ভাই আমাদের গ্রুপের কাজটাই সেবা!  “মুমূর্ষ রোগীকে রক্তদান করি, অন্যকে রক্তদানে উৎসাহিত করি”। আপনিও ভাই রক্ত দান করবেন! আজই আমাদের গ্রুপে যুক্ত হয়ে যান!

হৃদয় ঢালিঃ হ্যাঁ ভাই অবশ্যই!

রানভিরঃ  “রক্তদান করতে গেলে কিছু সময় ও টাকা খরচ হবে, বিনিময়ে আপনার উছিলায় একটি জীবন রক্ষা পাবে। "নারী-পুরুষ কোন ভেদাভেদ নেই , ১৮ বছর বয়স ও শারীরিক যোগ্যতা থাকলে রক্তদানে কোন বাধা নেই!

আর তাই ”রক্তদানের পাশাপাশি আশে-পাশের মানুষগুলোকেও রক্তদানে উৎসাহিত করা উচিৎ ।

আজিজুলঃ আমি রক্তদান করতে ভয় পেতাম! সেদিন সাহস করে রক্ত দিয়ে ফেললাম!

“রক্তদানে ভয় না পেয়ে , সবাই হাত  বাড়িয়ে দিন । রক্তদান মহান দান; সব দানকে ছাড়িয়ে”

হৃদয় ঢালিঃঠিক বলেছ আজিজুল!

সবাই এক সাথে বলি!

“যদি করি নিয়মিত রক্ত-দান, রক্তের অভাবে ঝরবেনা একটিও প্রাণ” আর তাই  “মানবতার কল্যাণে, সবাই এগিয়ে আসুন। (শেষ )

 

0 Comments:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন