চরিত্রঃ সোহেল,মিলি,রাজু,আরিফ খান,জামাল,অজগর।
কাহিনী ও চিত্র নাট্যঃ এম এস পলাশ
দৃশ্যঃ ১
স্থানঃ অফিস সময়ঃ সকাল
চরিত্রঃ সোহেল, মিলি, পিওন
একটা মেয়ে আসবে
মিলিঃ আমি কি আসতে পারি স্যর!
সোহেলঃ হ্যাঁ এসো । সুন্দর করে বলবে । মিলি এসে হাসি মুখে এখানে বসবে!
সোহেলঃ মিলি তোমাকে ত আজ খুব সুন্দর লাগছে!
মিলিঃ Thank You Sir…………………………………!
সোহেলঃ আচ্ছা মিলি । মিলির এক্সপ্রেশন
তুমি কি জানো একটা মানুষের সুন্দর অঙ্গটির নাম কি?
মিলিঃ না তো স্যার । আমার কাছে সব অঙ্গ সুন্দর লাগে!
সোহেলঃ সবচেয়ে সুন্দর অঙ্গটির নাম চোখ! আর এই চোখ , যে চোখ দিয়ে আমরা পৃথিবীর সুন্দরয্য ফিল করতে পারি! যেমন আমি তোমাকে দেখছি!
মিলিঃ মিলি হাসবে -------------------- হঠাৎ পিওন বয় আসবে ।
স্যার আসমু আসো
ঢুকতে গিয়েই উসটা খেয়ে পড়ে যাবে …।। ধপাস করে পড়ে যাবে ও মাগো …।। সোহেল , মিলির অবাক করা এক্সপ্রেশন
সোহেলঃ কি চাই! ইশারায়!
কোন মতে উঠে বলবে স্যার আপনি কি আমাকে ডেকেছেন?
কিন্তু উস্তাটা খাইলাম কই! মাথা হাত দিয়ে নিচে কি যেন খুঁজবে!
সোহেলঃ তোমাকে আমি ডাকবো কেন?
পিওনঃ তাহলে কে জানি ডাক দিল ঐ এই দিকে আয়! আমি ডরাই গেছিলাম!
সোহেলঃ অদ্ভুত কথা বল! দুই কাপ চা নিয়ে এসো!
পিওনঃ জি আচ্ছা স্যর । যাওয়ার ম্যাম সাবধানে যাইয়েন পড়ে আপনিও উস্তা খাইয়া পড়বেন!
সোহেলঃ তুমি কিন্তু দুপুরে লাঞ্চ আমার সাথে করবে!
মিলিঃ আচ্ছা স্যার!
আর কিছু কথা মিউট যাবে! ছেলে মেয়ে উভয় এর এক্সপ্রেশন
সোহেলঃ আচ্ছা শোন আমাদের যে নেক্সট যে প্রজেক্ট , এই এলোভা প্রজেক্ট ডিল আমরা পেয়েছি। তোমার কাজ এনিমেশন এ ছক আউটটা করে ফেলবে , তারপর আমরা ফুল থ্রি ডিতে এনেমিশন করে সাবমিশন করবো?
মিলিঃ ওকে স্যার!
পিওন দুই গ্লাস পানি নিয়ে ভিতরে প্রবেশ করবে!
সোহেল মিলি অবাক হয়ে গ্লাসে দিকে তাকিয়ে থাকবে!
সোহেলঃ বলছি চা আনতে তুমি আনছ পানি! বাহ বাহ বাহ! খুব সুন্দর!
মিলি হাসবে
পিওনঃ উফ! আমার মাথায় গণ্ডগোল হইছে স্যার! কিছুই মনে থাকে না!
সোহেলঃ সোহেল আচ্ছা পানি আনছ পানিই খাবো ঢোঁক ঢোঁক করে এক গ্লাস পানি খাবে!
মিলি তুমিও খাও! সে এত কষ্ট করে পানি আনছে!
পিওন মাথা চুলকাতে চুলকাতে বলবে! আরও পানি আনুম স্যার!
সোহেলঃ আনো আনো আরও পানি আনো আজ আমরা লাঞ্ছ করবো না! পানি খেয়ে লাঞ্ছ করবো! মিলি খাও খাও পানি খাও!
দৃশ্যঃ ২
স্থানঃ অফিস সময়ঃ সকাল
চরিত্রঃ হৃদয় , কামাল
হৃদয়ঃ চাইলাম পানি দিল চা! কিছুই বুঝলাম না! প্রবলেম কি আমার মাথায় নাকি পিওন রনির মাথায়!
কামালঃ জোরে চিল্লাই ডাকও দিতে পারতেছি না! বড় স্যার অফিসে!
হৃদয়ঃ কি একটা অবস্থা! তারমধ্যে চায়ে দেয় নাই চিনি! মুখ প্রচণ্ড বাকা করবে!
কামালঃ মনডায় চাইতেছে ধইরা চায়ের মধ্যে চুবাইয়া একটা নাড়া মারি! যাই চিনির ডিব্বাটা নিয়া আসি!
হৃদয়ঃ যাও তাইলে!
দৃশ্যঃ ৩
স্থানঃ অফিস সময়ঃ সকাল
চরিত্রঃ সোহেল , আইরিন
সোহেল এর ফোনে রিং বাজবে!
সোহেলঃ হ্যালো জান! কি কর!
আইরিনঃ এই তুমি কি ডিনার পার্টি তে আসবে না?
সোহেলঃ অবশ্যই আসবো জান! অফিসের কাজ গুলো শেষ করেই বাসায় চলে আসবো!
আমার মেয়ে কি করে?
আইরিনঃ তোমার মেয়ে ঘুমোচ্ছে। বাবা বাবা করে কান্না করে ঘুম!
সোহেলঃ ইশ মামুনি টার জন্য আজকেই চকলেট নিয়ে আসবো!
আইরিনঃ এই শোন, আসার সময় বাবুর জন্য মিল্ক নিয়ে এসো!
সোহেলঃ হ্যাঁ অবশই!
দৃশ্যঃ ৪
স্থানঃ অফিস সময়ঃ সকাল
চরিত্রঃ সোহেল , রাজু , মিলি , পিওন
রাজু আসবে অফিসে
পিওন বলবে আপ কন হে ভাই?
রাজুঃ মে হু ডন! সোহেল কি ভিতরে আছে?
পিওনঃ স্যার ভিতরে আছে! ভাই কি সিনেমা করেন?
রাজুঃ তোমার কাছে বলেছি আমি সিনেমা করি?
পিওনঃ আপনারে দেখতে পুরাই ভিলেন এর মত লাগে!
রাজুঃ হাঁসি বন্ধ! হাসলে তোমারে রাজা হাঁসের মত লাগে!
পিওনঃ জি ডন ভাই আপনার কথায় যুক্তি আছে!
রাজুঃ তুমি অতিরিক্ত কথা বল! এক কফি বানিয়ে ভিতরে আসো!
দৃশ্যঃ ৫
স্থানঃ অফিস সময়ঃ সকাল
চরিত্রঃ সোহেল , রাজু , মিলি , পিওন
সোহেল কে বলবে আসতে পারি স্যার!
সোহেলঃ আরে দোস্ত তুই? বলেই জড়িয়ে ধরবে!
সোহেলঃ কবে আসলি অ্যামেরিকা থেকে?
রাজুঃ এইতো আজকেই!
সোহেলঃ হ্যাঁ বস!
রাজুঃ তোর বিজনেস ভালো চলছে দেখে অনেক ভাল লাগলো!
সোহেলঃ তুই সবসময় আমাকে সাপোর্ট করতি। তাই হয়তো আজ এই অবস্থায়! তা বল দেশে থাকবি কয় দিন!
রাজুঃ দোস্ত এখানে বিয়ে করতে আসছি! বউ নিয়েই চলে যাবো সোজা আমেরিকায়!
সোহেলঃ অ্যামেরিকায় মেয়ের অভাব নাকি রে! একটা বিয়ে করে ফেলতি!
রাজুঃ হাহাহা! তাই চেয়েছিলাম! কিন্তু মুসলিম মেয়ে ত নেই! কিন্তু সেখানে খুব অবাধে মেলামেশা হয়! যৌনতার কাপাকাপি একটা অবস্থা! হাহাহাহা!
মিলি আসবেঃ মে আই কামিং স্যর!
সোহেলঃ হ্যাঁ এসো! পরিচয় করিয়ে দেই! দোস্ত ও মিলি আমাদের আইটি ডিপার্টমেনট এর হেড বর্তমানে এনিমেশন ও গ্রাফিক্স এর প্রোজেক্ট সে হ্যান্ডলেনিং করে!
রাজুঃ হ্যালো আমি রাজু!
মিলিঃ হ্যালো স্যার!
রাজুঃ স্যার বলছেন কেন? মিঃ রাজু বলেন! অ্যামেরিকায় কেউ ব্রাদার , ব্রা , বলে না! মিঃ বলে ডাকে!
মিলিঃ ও আচ্ছা! কিন্তু ব্রা মানে?
রাজুঃ ব্রা না ব্র হবে! ব্রো------!
মিলির এক্সপ্রেশন চাপানো হাসি!
রাজুঃ অবাক নয়নে মিলিকে দেখবে! প্রজেক্ট বুঝে নিচ্ছে!
মিলি চলে যাবে!
সোহেলঃ কিরে ধ্যানে পড়লি নাকি!
রাজুঃ প্রেমে পড়ছি দোস্ত! আহা! কি চোখ কি মায়া ভেজানো মুখ!
সোহেলঃ কি বলছেন? কিছুই বুঝছি না!
রাজুঃ দোস্ত শোন মিনি মেয়েটা কি বিবাহিত?
সোহেলঃ না কিন্তু কেন? আর ও তো মিনি না মিলি!
রাজুঃ বিন্দাস! শোন আজ যাইরে মামার বাড়ি যেতে হবে। খুব আর্জেন্ট!
সোহেলঃ আরে শোন , বুফেতে যাবো! চল!
সোহেল আজ না দোস্ত~!
পিওন ঢুকবে! কফি নিয়ে!
স্যার আসমু!
সোহেলঃ সাবধানে আয়! আবার উস্তা খাস নে!
পিওনঃ স্যার ডন ভাই এর জন্য কফি আনছি!
সোহেলঃ ডন কে? সে তো আমার বন্ধু!
পিওনঃ ওমা কি কন স্যার! সরি ডন স্যার ক্ষমা চাই! কান ধইরা উঠবস করতেছি!
রাজুঃ তুমি আসলেই অযথা কথা বল! কফি মুখে দিয়েই মুখ ভেংচি করবে!
বাপ্রে! তিতার বাপ!
পিওনঃ তিতার বাপ কফির মধ্যে কি করে ডন স্যার?
রাজুঃ তুমি খাইয়া দেখো কি বানাইছ!
পিওনঃ কফি চুমুক দিতেই মুখ ভেংচি কাটবে! ওমা চিনি দেই নাই! আল্লাহ গো তিতার দাদা!
দৃশ্যঃ ৬
স্থানঃ অফিস সময়ঃ সকাল
চরিত্রঃ কামাল, হৃদয়!
ব্যস্ত অফিসে কাজ চলছে! মিলি হাঁসি মাখা মুখ থেকে মুগ্ধ হয়ে চেয়ে থাকবে! কামাল, হৃদয়!
হৃদয়ঃ বুঝলা কামাল ভাই! বিয়ার বয়স ত পার হইয়া গেলো! ভাবতেছি! মিলিরে বিয়া করবো! তুমি কি বল?
কামালঃ ভালো সিধান্ত!
হৃদয়ঃ এই মেয়েরে দেখলে বুকের ভিতর ছেদ ছেদ ছেদ করে জ্বেলে উঠে! চোখ খুলেই দেখবে! পিওন কে!
পিওনঃ স্যর আমাকে ডেকেছেন?
হৃদয়ঃ তোমারে ডাকবো কোন দুঃখে! পুরাই রোম্যান্টিক মুডে ছিলাম!
পিওনঃ চা আনমু না কফি আনুম? চা নিয়ে আসো!
- সিধান্ত ইজ ফাইনাল! এক কাপ চা খেয়েই মিলিরে প্রোপজ করবো!
পিওন পড়ে এক গ্লাস পানি দিয়ে যাবে!
হৃদয় পানির গ্লাসের দিকে হা করে তাকিয়ে থাকবে!
দৃশ্যঃ ৭
স্থানঃ অফিস সময়ঃ সকাল
চরিত্রঃ মিলি, সোহেল
ব্যস্ত অফিসে কাজ চলছে! মিলি হাঁসি মাখা মুখে কথা বলে যাচ্ছে প্রজেক্ট নিয়ে!
সোহেল এর খেয়াল এক মাত্র তার দিকে!!
সোহেলঃ আচ্ছা মিলি! এইগুলো রাখো! আজ ভাল লাগছে না! তোমাকে আজ অন্য রকম লাগছে!
কি হয়েছে তোমার শরীর খারাপ নাতো?
মিলিঃ তেমন কিছু না স্যার ঠাণ্ডা জ্বর!
সোহেলঃ মাই গড! কি বল! ঈশ! ওষুধ খাচ্ছো?
মিলিঃ খেয়েছি স্যার! তুমি এখনি বাসায় চলে যাও! রেস্ট কর!
- চল তোমাকে দিয়ে আসি!
গাড়ি ত গ্যারেজে! সার্ভাসিং করাচ্ছি!
- স্যার আমার বাসা সামনে , হেটেই যাওয়া যাই!
- ও তাই! তাহলে চল এগিয়ে দিয়ে আসি!
দুইজনেই খুব খুশি হবে!
দৃশ্যঃ ৮
স্থানঃ অফিস সময়ঃ বাহিরে
চরিত্রঃ মিলি, সোহেল
মিলি সোহেল হাঁটবে ,
সোহেলঃ তোমার সাথে হাঁটতে ভালই লাগছে!
মিলিঃ সকাল সকাল হাঁটার ভিতর আনন্দ আছে!
সোহেলঃ হাহাহা!
মিলিঃ চল ওইদিকটাই যাই!
হাঁটাহাটির সিন! কিছু মুহূর্ত!
দৃশ্যঃ ৯
স্থানঃ অফিস সময়ঃ বাহিরে
চরিত্রঃ পিওন , সোহেল , মাস্তান জব্বার!
একজন মাস্তান ভিতরে আসবে!
পিওনঃ আপনি কে ভাই? কারে চান!
মাস্তানঃ তুই আমারে চিনস নাহ?
পিওনঃ না!
মাস্তানঃ তোর স্যর রে যাইয়া ক গলাকাটা জব্বার আইসে!
পিওনঃ জি আচ্ছা!
মাস্তানঃ আর শোন!
সে সামনে আসবে! দুই গালে দুটা থাপ্পড় লাগায় দিবে! যাহ এখন!
থাপ্পড় খেয়ে সে অবাক হয়ে হাটবে!
- কি জন্য মারল কিছুই বুঝলাম! ভয়ানক প্রানি!
সোহেল এর রুমে ঢুকবে সে ---------------------------------
স্যার মাস্তান জব্বার আসছে!
- ওরে থাপ্পড় মেরে বিদায় কর!
- ওকে স্যার!
তারপর সে মাস্তান এর কাছে আসবে!
এসেই দুইটা চর লাগায় দিবে!
মাস্তান থো হয়ে যাবে!
আমারে থাপ্পড় মারলি_ তোর এত বড় সাহস!
- না গেলে আরেক থারেপী হবে! এমনেই আমার মাথা ঠিক নাই!
মাস্তান দ্রুত অফিস থেকে পালিয়ে যাবে!
দৃশ্যঃ ১০
স্থানঃ অফিস সময়ঃ বাহিরে । রেস্তরা বা রাস্তা / ছাঁদ
চরিত্রঃ সোহেল, রাজু
রাজুঃ দোস্ত একটা কতাহ বলার জন্য তোকে এখানে নিয়ে আসলাম! তুই আবার অন্য মাইন্ডে নিস না!
সোহেলঃ আরে ধুর! দোস্ত তুই কি চাস আমাকে বল , তোর জন্য কলিজাটা কেটে দিয়ে দিব!
রাজুঃ আমি মিলি মেয়েটা কে বিয়ে করতে চাই!
সোহেল এর বুকে প্রচন্ড কষ্ট পাবে!
সোহেলঃ মিলি যদি রাজি থাকে! তবে অবশ্যই! তোরা বিয়ে করবি! আমি কেন অমত করবো! বল?
রাজুঃ থ্যাংকস দোস্ত!
সোহেলঃ একটা সিগেরেট হবে?
রাজুঃ হ্যাঁ হবে নে!
সোহেল সিগেরেট জ্বালাবে!
দৃশ্যঃ ১১
স্থানঃ অফিস।
চরিত্রঃ সোহেল, মিলি
অফিসের টেবিলে বসে আছে তারা
- তুমি কাঁদছো কেন? মিলি?
- আমার বিয়ে আপনার বন্ধু রাজুর সাথে।
- এইতো খুশির খবর। রাজু ছেলেটা খুব ভালো ছেলে! তোমার সাথে খুব মানাবে। তুমি কাদবে না মিলি। মিলি মনে মনে বলবে আমি আপনাকে কি ভাবে বুঝাবো আমি আপনাকে কতটা ভালোবাসি!
সোহেল মনে মনে বলবে (তোমার এই কান্নার মানে কি মিলি? তুমি কি আমার ভালোবাসাটা কখনো বুঝেছিলে?)
- স্যার আমাকে নিয়ে আমেরিকা চলে যাবে রাজু, আমার মনে হচ্ছে আমি যেন হারিয়ে যাচ্ছি কোন এক অজানায়! আমি হারিয়ে ফেলছি খুব কাছের মানুষটিকে!
- কে সে?
- আপনি কখনোই বুঝবেন না স্যার!
ফ্ল্যাশ ব্যাক!
সোহেল সোফায় ঘুমিয়ে পড়বে। চাদর দিয়ে তাকে ঢেকে দিবে মিলি। মাথা চুল গুলো সরিয়ে দিবে!
রাস্তায় ঘোরাঘুরি সিনের দেখানো হবে!
ফ্ল্যাশ ইন!
মিলি চোখ মুছবে! সে চলে যাবে! সোহেল মন খারাপ করে বসে থাকবে!
দৃশ্যঃ ১২
স্থানঃ অফিস ,বাহিরে , রাস্তা / ছাঁদ
চরিত্রঃ সোহেল
অভার ভয়েস
আজ রাজু আর মিলির বিয়ে, কিন্তু ওদের বিয়েতে আমি যেতে পারিনি!
ফোন আসবে ।
- হ্যালো
- এই শোনো তুমি কি আসবে না? রাজুর ত আজ বিয়ে!
- শোনো জান আমি ইমারজেন্সি কাজে বাহিরে যাচ্ছি! প্লিজ তুমি রাজুকে ম্যানেজ কর!
- আচ্ছা ঠিক আছে!
-
অভার ভয়েস
এই শহর ছেড়ে কয়েকদিন এর জন্য বুহুদুরে চলে যাচ্ছি! মাঝে মাঝে কিছু মায়া , কিছু বাস্তবতা থেকে দূরে চলে আসাই শ্রেয়! বদ্ধ এই নগরীতে এক অদ্ভুত মায়াজালে নিজেকে ঘ্রাস করে ফেলে! কিছু তিক্ততা , কিছু ব্যথা! কিছু চাওয়া না পাওয়া কষ্ট গুলো থেকে নিজেকে আড়াল করা ফেলার ভিতর এক প্রকার আনন্দ আছে! সে এক অন্যরকম আনন্দ!
৭ দিন পর!
মিলি ও রাজুকে দেখবে সোহেল! মিলিকে আজ খুব সুন্দর লাগছে!
রাজুঃ তুই আমাদের বিয়ে তে ছিলি না খুব কষ্ট পেলাম!
মিলিঃ অভিমান এর এক্সপ্রেশন!
সোহেল রাজু কে জড়িয়ে ধরে বলবে সরি দোস্ত। খুব ইমাজেন্সি প্রজেক্ট ছিল!
তুই মন খারাপ করিসনা! তোর ভাবি তো গিয়েছিল! জানিস আমি আজ কত খুশি! তোকে বুঝিয়ে বলতে পারব না!
মিলি তুমি সত্যি খুব ভালো মেয়ে, তোমাকে আমরা খুব মিস করবো!
মিলির চোখে পানি!
ওরা বিদায় নিয়ে চলে যাবে!
অভার ভয়েস ,
এই শহরে বেচে থাকার জন্য অনেক ইচ্ছেই থাকতে পারে কিন্তু সব ইচ্ছে কি আর পূরণ হয়! কত ভালোবাসার মানুষই ত আসে! তারা সবাই কি আর থেকে যায়!
থাকুক না কিছু না বলা কথা! কিছু না বলা ব্যথা! প্রিয় মানুষ গুলো ভালো থাকুক!
শেষ
0 Comments:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন